রাজধানীতে বসবাসকারী এ ধরনের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষকে সেহরি-ইফতারি খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ী দুইবন্ধু রিফাত হোসেন ও কামরুজ্জামান সোহাগ। তারা দুজনই আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে বিআরএম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রিফাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোজার প্রথম রাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অসহায়, তৃণমূল অনাহারী মানুষের রোজা রাখার জন্য ঘুরে ঘুরে সেহরি বিতরণ করছি। খাবার হিসেবে ভাতের সঙ্গে মুগডাল মুরগি, আলু ও ডাল ভাত, ভাত ও আলু দিয়ে গরুর মাংস ভুনা, ভাত ও আলু দিয়ে খাসির মাংস ভুনা ও এক বোতল পানি।
ইফতারিতে এক বোতল পানি, দুইটা খেঁজুর, একটি কলা, আপেলের টুকরো এক পিস ও লেবুর টুকরো এক পিস। সঙ্গে সপ্তাহে দুইদিন সবজি খিচুড়ি, দুইদিন ডিম খিচুড়ি, দুইদিন মুরগি খিচুড়ি ও গরুর মাংস ভাত বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেহরি ও ইফতারের খাবার। ইতোমধ্যে ৫০০০ হাজার মানুষের মধ্যে সেহরি ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান রিফাত।
ভাস্ট বাংলাদেশের মালিক কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমরা প্রথম রোজা থেকে সেহরি ও ইফতার খাওয়ানো শুরু করেছি। ঈদের দিন ভালোমানের খাবার দিয়ে সমাপ্ত করতে চাই। আমরা প্রথমে শুধু ইফতার বিতরণ শুরু করেছিলাম। পরে মানুষের আকুতি-মিনতিতে সেহরিও খাওয়ানো হচ্ছে। কারণ রাতের বেলায় তাদের কাছে কেউ খাবার নিয়ে যায় না। এসব অসহায় মানুষের একটাই আকুতি, তাদের দু-বেলা দু-মুঠো খাবার চাই। করোনা ভাইরাসের ছুটির শুরুতেই ভাস্ট বাংলাদেশ ১০ হাজার মানুষকে আহারের ব্যবস্থা এবং ৫০০ পরিবারের এক সপ্তাহের বাজার উপহার দিয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে ক্ষুধায় যেন তাদের প্রাণ না যায় তাই এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন ভাস্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান সোহাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২০
এসই/এনটি