বুধবার (১৩ মে) দুপুর ২টার দিকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ফয়েজ আদাম্মদ। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের মতো বগুড়ার নিউ মার্কেটসহ সব বিপণিবিতান গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দফায় বাড়িয়ে তা ১৬ মে পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়। এরই মধ্যে বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় জেলা প্রশাসন গত ২১ এপ্রিল পুরো জেলা লকডাউন বা অবরুদ্ধ ঘোষণা করে। জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১২ মে পর্যন্ত বগুড়ায় মোট ৫২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ মে থেকে সারা দেশে বেশ কয়েকটি শর্তে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এসব শর্তের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি অন্যতম ছিল। কিন্তু দোকান ও মার্কেটগুলো খোলার প্রথম দিনই বগুড়া নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বেচাকেনার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি জেলা প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলে। এ কারণেই নিউ মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে একটি টিম নিউ মার্কেটে গিয়ে দোকান মালিকদের বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তা কার্যকর করেন।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকেই ওই মার্কেট বন্ধ করা হয়েছে। অন্য মার্কেটগুলোতেও জেলা প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অন্যগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
কেইউএ/এফএম