বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চালানটি শিনহোয়াংদাও বন্দর থেকে এমভি কং সিউ সং জাহাজে করে রওনা দিয়েছে। আগামী ১৫ জুন মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় এসব মালামাল এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘জাহাজে সেতুর ১৮০টি ট্রাস কম্পোনেন্টসহ ২ হাজার ৪১টি স্টিলের তৈরি বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। জাহাজটি সাংহাই ও সিঙ্গাপুর পোর্টে মোট সাতদিন বিরতি দিয়ে জুন মাসের ৭ তারিখ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। চট্টগাম বন্দরে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ ও ক্লিয়ারেন্সের পর মংলা হয়ে ১৫ জুন মাওয়ায় এসে পৌঁছাবে। পরিবহনের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে আন্তজার্তিক কসকো শিপিং লাইন’।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর শেষ এসব মালামাল চলতি বছরের মার্চ মাসে আসার পরিকল্পনা চলছিল। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রভাবে চীনের উহানে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে স্প্যানের মালামাল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এপ্রিলের শেষের দিকে পুনরায় ফ্যাক্টরি খুলে এবং মে মাসের শেষ দিকে স্প্যানগুলোর কম্পোনেন্ট তৈরি কাজ শেষ হয়।
প্রকৌশলী সূত্র জানায়, পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানে ১১০-১১৮টি স্টিলের ট্রাস কম্পোনেন্টের (কর্ড, মেম্বার বা নোড) সমন্বয়ে তৈরি। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানে সর্বমোট ৪ হাজার ৫৮৭ টি স্টিলের ট্রাস কম্পোনেন্ট প্রয়োজন হবে, যা মূল সেতুর স্প্যান তৈরি করবে। তাছাড়াও রেলওয়ের জন্য ১ হাজার ৩১২টি স্টিলের স্ট্রিনজার বিম, ২ হাজার ৬২৪টি স্টিলের রেলওয়ে সাপোর্ট ব্রাকেট, ১ হাজার ৩১২টি স্টিলের রেলওয়ে স্ল্যাব ব্রাকেট, ৮ হাজার ২১৪টি গ্যান্ট্রি মেইনটেনান্স ব্রাকেট, ১ হাজার ৩৪৬টি গ্যাস পাইপলাইন ব্রাকেট, ৯৩০টি হ্যাচ কভার, ৯১০টি অ্যাকসেস ল্যাডার, ৪৮টি ট্রান্সভার্স শেয়ার কি, ২১টি গ্যাস পাইপলাইন লুপ, ১ হাজার ৩১২টি ওভারহেড ক্রেন স্টিলের গার্ডার ও ১টি এর প্রয়োজন হবে। এসবের বেশিরভাগ অনেক আগেই এসে পড়েছে। আর বাকি কিছু মালামাল আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এসআরএস