ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শার্শায় নিরাপদ দূরত্ব না মেনেই চলছে ঈদের কেনাকাটা

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
শার্শায় নিরাপদ দূরত্ব না মেনেই চলছে ঈদের কেনাকাটা

বেনাপোল (যশোর): করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা না মেনেই চলছে যশোরের শার্শা উপজেলার প্রতিটি মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা। এসব মার্কেটগুলোতে দোকানি ও ক্রেতারা মানছেন না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।

রোববার (১৭ মে) সকাল থেকে বেনাপোল, নাভারন,বাগ আঁচড়া মার্কেটগুলোতে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে, দেড় মাস পর সড়ক থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট খুলে দেওয়ার পরপরই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।

আর সেই সঙ্গে হালকা যানবাহনে পুরোনো চেহারা ফিরে পেয়েছে শার্শা উপজেলাবাসী। এছাড়া করোনা ঝুঁকি আমলেই নিচ্ছেন না এখানকার মানুষ। মাস্ক না পরেই করছেন কেনাকাটা। মহামারি করোনার প্রভাব যেন তাদের স্পর্শ করতেই পারবে না।  

বেনাপোল বাজারের নুর শপিং কমপ্লেক্সের ফ্যাশন মিউজিয়ামের মালিক মুসা করিম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ বাজার দু’দিনেই জমজমাট হয়ে উঠেছে।  মার্কেটে আসা ক্রেতাদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে। দোকানে ঢুকলেই তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। চেষ্টা করছি সরকারি নির্দেশনা মেনে বেচা-কেনা করার।  
শারীরিক দূরত্ব না মেনই চলছে ঈদের কেনাকাটাবেনাপোল লালমিয়া সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা বৃষ্টি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, একেতো করোনার কারণে ঘরবন্দি। বের হতেই পারছি না। এখন ঈদ সামনে রেখে দোকান-পাট যখন খুলেছে, তাই আগে ভাগে কেনাকাটা-টা করে রাখছি।  

নাভারন নিউমার্কেটে বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা আয়শা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। এবার করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় কেনাকাটা করতে পারিনি। এখন মার্কেট খোলায় বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের পছন্দের পোশাক কেনার জন্য এসেছি। তবে মার্কেটে সব ধরণের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা যতক্ষণ থাকছি, ততক্ষণ সবাই আইন মানছেন। আর চলে এলেই আবার যা-তাই। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।