ইতোমধ্যে উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে আম্পান। আবহাওয়া অধিদপ্তর এরইমধ্যে মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখার জন্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘যে কোনো বিপর্যয়ে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু সংকটে পড়ে। আম্পান আঘাত হানতে পারে বলে এসব এলাকায় অবস্থিত গবাদিপশুর খামারে ১৫ থেকে ২০ দিনের খাদ্য মজুদ করেছি। পাশপাশি উপকূলীয় এলাকার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য হেড অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে যৌথভাবে প্রাণিসম্পদ অফিস কাজ করছে। যেমন বাগের হাটে সরকারি খামারে ৭০০ মহিষ রয়েছে। এসব মহিষের জন্য ১৫ থেকে ২০ দিনের দানাদার খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা ও উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কাজ করছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে টিম গঠন করা হয়েছে। মানুষজনকে গবাদিপশু সঙ্গে করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দানাদার খাবার মজুদ ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেখানোর পাশাপাশি খড় সংরক্ষণ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে ভেটেনারি মেডিক্যাল টিম। ’
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে টিম গঠন করেছি। তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। মানুষ যেন গবাদিপশু সঙ্গে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়, এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। সরকারি খামারে খাদ্য মজুদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এ দুর্যোগের সময় কীভাবে খাদ্য মজুদ করবে তা শেখানো হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
এমআইএস/এফএম