কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ এই লকডাউন ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদরের নিরাময় নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ জানান, ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. আসলামুজ্জামান(কামাল) করোনা পরীক্ষার জন্য গত মঙ্গলবার ( ১৯ মে ) নমুনা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উনার করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
তিনি আরো জানান, পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পরও ডা. আসলামুজ্জামান (কামাল) এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ক্লিনিকে অবস্থানরত রোগী, নবজাতক ও রোগীর আত্মীয় স্বজনসহ ২৯ জন এবং ডাক্তার ও ১ ১স্টাফসহ ক্লিনিকটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, লকডাউনকৃত সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এসময় কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ কাইয়ুম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাশিয়ানীতে ১ ডাক্তারসহ ৩জন এবং মুকসুদপুরে ১জন।
এই নিয়ে জেলায় ১১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকী ৬৭ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ১জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ও গোপালগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেনে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ।
তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৪৫০ জনের শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ জনের ফলাফল এসেছে। বাকী ১০০ জনের ফলাফল আজ রাতে অথবা আগামীকাল সকালে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১, মে, ২২. ২০২০
জেআইএম