কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার জন্য এসব পরামর্শ দেওয়া হয়।
এসব জেলায় মাছ, ফসলসহ অন্য কৃষিজাত ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শগুলো:
#বোরো ধানসহ অন্য দণ্ডায়মান ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
#জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের পর পরিপক্ব বোরো ধান ও অন্য ফসল সংগ্রহ করুন।
#ভিজে যাওয়া রোরো ধান রোদে দ্রুত শুকিয়ে নিন এবং শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
#আউশ রোপণ করা না হয়ে থাকলে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অথবা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দ্রুত চারা রোপণ করুন।
#আউশ ধানে পানি নেমে যাওয়ার ৫-৭ দিন পর গ্যাপ ফিলিং করে পটাশ সার এবং তার ৩-৫ দিন পর ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগে করুন। ধান আগাম কুশি বের হওয়া পর্যায়ে থাকলে এখনই ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না।
#৫-৭ দিন পর প্রয়োগ হলে কুশি ভেঙে গ্যাপ ফিলিং করে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে এখন সব ধরনের জমিতেই বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার ব্যবহার করা ভালো।
#পাটের জমিতে পানি জমে থাকলে দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় সার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পাটের জমি শুকানোর পর নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিন।
#রোগ-বালাই দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক প্রয়োগে করুন।
#ঢলে পড়া কলাগাছ ও অন্যা উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল খুঁটির সাহায্যে সোজা করে দিন, সবজিতেও খুঁটির ব্যবস্থা করুন। মাটিতে যথাযথ আর্দ্রতা বজায় থাকলে সবজি ও অন্য ফসল বপন করুন।
#আগাছানিধনসহ অন্য পরিচর্যা জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের পর করতে হবে। জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের পর প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করুন।
#জমির পানি নামার আগে বাড়ির আঙিনা ও রাস্তার ধারে উঁচু জায়গায় লতানো সবজি যেমন ঝিঙা, ধুন্দল, করলা, লাউ প্রভৃতি লাগানো যেতে পারে।
#গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি উঁচু পরিষ্কার জায়গায় রাখুন। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
#তলিয়ে যাওয়া পুকুরগুলোতে পানি নেমে যাওয়ার পরপরই চারধার মেরামত করে নিন। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে মাছের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ২৫০-৭৫০ গ্রাম/শতাংশ হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের তিন দিন পর রৌদ্রজ্বল দিনে ৮০-১০০ গ্রাম/শতাংশ হারে ইউরিয়া এবং ৪০-৫০ গ্রাম/শতাংশ হারে টিএসপি প্রয়োগে করতে হবে। পুকুর থেকে মাছ বের হয়ে গিয়েছে কিনা জাল টেনে পরীক্ষা করুন। মাছ বের হয়ে যাওয়া পুকুরগুলোতে একটু বড় আকারের পোনা পুনরায় মজুদ করতে হবে।
কৃষিকাজ করার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এমআইএইচ /এএ