ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনায় পার্বত্য এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট-রেড ক্রসের সহায়তা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
করোনায় পার্বত্য এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট-রেড ক্রসের সহায়তা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ৮৫টি কমিউনিটি ও শহরাঞ্চলে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ৮৫টি কমিউনিটি ও শহরাঞ্চলে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। গত ১৯ থেকে ২৪ মে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসি পার্বত্য চট্রগ্রামে তিন জেলার জনগোষ্ঠীর খাদ্য গ্রহণের মান উন্নয়নে ছয় হাজার পরিবারের ৩০ হাজার মানুষকে নিঃশর্ত ও এককালীন ৪৫০০ টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছে।

শনিবার (৩০ মে) আইসিআরসি অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান্য হয়।

কোভিড-১৯ মহামারি অব্যাহত থাকায়, অনেক লোক, বিশেষত দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী মানুষ কাজের অভাবে তীব্র খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে।

ক্রমপরিবর্তনশীল এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসির উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বিডিআরসিএসের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক এম এ হালিম বলেন, ‘স্থানীয় বিডিআরসিএস ইউনিটগুলোর সহায়তায় আমরা কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী, কর্মহীন দিনমজুর, আয়ের সুযোগ হারানো পরিবার এবং নারী-প্রধান পরিবারগুলোকে সহায়তা দিচ্ছি যেন এ মহামারিতে তারা তাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে পারে। ’

কোভিড-১৯ এর জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য এ মানবিক সহায়তা তাদের খাবারে ইতিবাচক বৈচিত্র্য আনবে, পাশাপাশি এতে তাদের খাদ্যের গুণগত ও পরিমাণগত চাহিদাও মিটবে। পার্বত্য চট্রগ্রামে অব্যাহত মানবিক সহায়তার বিবরণ দিয়ে আইসিআরসি বাংলাদেশের ফিল্ড প্রোটেকশন ডেলিগেট লরা ডিসকিন বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্রগ্রামে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে নিবিড় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে বাঙালি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এ মহামারির সময়ে আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম যেমন নগদ অর্থ ও খাদ্য  বিতরণ, সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষকে সহায়তা, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে প্রতিরোধমূলক বার্তা এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে যেন এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হয়। ’

এ সহায়তার পাশাপাশি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে যেন কারাগারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও, বিডিআরসিএসের স্বেচ্ছাসেবীরা কারাগারে সংক্রমণ ও প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষকে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে। আইসিআরসির আর্থিক সহায়তায় বিডিআরসিএস তিন পার্বত্য জেলায় তিন হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।

এছাড়াও পার্বত্য চট্রগ্রামজুড়ে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধমূলক অডিও বার্তা পাঠানো অব্যাহত রয়েছে ও নগদ অর্থ বিতরণের সময় লিফলেট আকারে এ বার্তাগুলো আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে বিডিআরসিএসের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। হটলাইনের মাধ্যমে ও সরাসরি উপকারভোগী জনগণের কাছ থেকে তাদের প্রতিক্রিয়া, অভিযোগ ও পরামর্শ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আইসিআরসি পার্বত্য চট্রগ্রামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, শক্তি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে।

বিডিআরসিএসের সঙ্গে নিবিড় অংশীদারিত্বে আইসিআরসি ২০১৪ সাল থেকে কমিনিউটিভিত্তিক জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও, এ কমিউনিটিগুলো যেন নিরাপদ পানি এবং পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশন সুবিধা পেতে পারে সে লক্ষ্যেও কাজ করে আসছে এ সংস্থা দু’টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
টিআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।