ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেয়ায় সংখ্যালঘুর বাড়ি ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২০
ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেয়ায় সংখ্যালঘুর বাড়ি ভাঙচুর

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (০৯ জুন) দুপুরে বিচার চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সংখ্যালঘু পরিবারের সুনিল চন্দ্র (১৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের রবীন্দ্র নাথের ছেলে সুনিল চন্দ্র ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন।

করোনার কারণে সম্প্রতি গ্রামের বাড়ি আসেন।  

সোমবার (০৮ জুন) দুপুরে ব্যাক্তিগত কাজে পাশের গ্রাম কান্তেশ্বরপাড়া লালপুল এলাকায় বাইসাইকেলে যাওয়ার পর প্রতিবেশী আওলাদের ছেলে সফিক (২২) অপরিচিত একজনসহ তিনজন গিয়ে সুনিলকে আটক করে। এ সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সুনিলকে মাদকসেবী দাবি করে বাইসাইকেল, মোবাইলসহ সর্বস্ব লুট করে নেয়।

পরে সফিক বাইসাইকেল ফেরত দেয়ার নাম করে বাড়িতে নিয়ে এসে আরো এক হাজার টাকা আদায় করে সুনিলকে মোবাইল ও বাইসাইকেলসহ ছেড়ে দেয়। ওই দিন বিকেলে বাড়ির পাশে সেনাবাহিনীর টহল টিমকে বিষয়টি জানিয়ে বিচারপ্রার্থী হন সুনিলের ভাই রিক্সাচালক মহেশ্বর (৩০)।

বিষয়টি জানতে পেয়ে ছিনতাইকারী সফিক দলবল নিয়ে রাতে মহেশ্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন মহেশ্বর ও তার চাচাতো ভাই প্রফুল্য। আহতদের অবরুদ্ধ করে রাখে ছিনতাইকারীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মঙ্গলবার (০৯ জুন) দুপুরে পোশাক শ্রমিক সুনিল বাদী হয়ে সফিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত মহেশ্বর বাংলানিউজকে বলেন, সফিক গ্রুপের অত্যাচারে গ্রামে বসবাস করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তাদের কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে ভাঙচুর ও ভারতে পাঠানোর হুমকি দেয়। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় ২০৫৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।