বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একের পর এক সংঘর্ষ হয়েই যাচ্ছে নোয়াগর গ্রামে। আহত হচ্ছেন শতশত মানুষ। গেল কয়েক বছরে ঘটেছে সাতটি খুনের ঘটনা। এরপরও শান্ত হচ্ছে না আলোচিত গ্রাম নোয়াগর।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ওই গ্রামের ফুল মিয়ার ভাতিজা পাশ্ববর্তী বিলে মাছ ধরতে যান। তাকে বাধা দেওয়া হয় একই গ্রামের সোবা মিয়া পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ১০ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে খুঁজে পায়নি।
আজমিরীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষকারীরা সবাই পুলিশ অ্যাসল্টসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। কিছুদিন পরপরই এরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিতে অন্য উপজেলার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। যে কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।
নোয়াগড় গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেনের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রতিবছরই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই বিরোধ নিয়ে গেল কয়েক বছরে সাতটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
বাংলাদেশ সময: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এনটি