জাপান দূতাবাস জানায়, জাপানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দূতাবাসের নজরে এসেছে। জাপানের বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় জাপান কর্তৃপক্ষ আলাদা আলাদা ব্যবস্থা নিয়েছে।
জাপান সরকার বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করছে। আর জাপানে তাদের আগমনের পরে ১৪ দিনের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছে। তবে জাপানে চার্টার্ড ফ্লাইটের যাত্রীদের প্রবেশে কোভিড পরীক্ষার ফলাফলের সনদ দেখানোর প্রয়োজন পড়েনি। এই সনদের বৈধতা বা যথার্থতা কখনও সমস্যা হয়ে ওঠেনি।
গত ২৫ মে থেকে ভারত ও পাকিস্তানসহ ১০টি দেশের সঙ্গে একত্রে জাপানে প্রবেশে নিষিদ্ধ দেশগুলির তালিকায় বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। যেটা এই অঞ্চলের কোভিড ১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে সামগ্রিক মূল্যায়ন প্রতিফলিত করে। এটাও সত্য যে গত ৩০ এপ্রিল চার্টার্ড ফ্লাইটে আরোহী চার যাত্রী জাপানে প্রবেশের পরে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে তাদের সংক্রমণের উৎস বা জায়গা সনাক্ত করা যায়নি।
বাংলাদেশসহ ১১১টি তালিকাভুক্ত দেশে যেসব নাগরিক বিগত ১৪ দিন ভ্রমণ করবেন, বিশেষ পরিস্থিতি না থাকলে জাপানে তাদের প্রবেশের অনুমতি নেই। এছাড়া জাপান থেকে অন্য কোনো দেশে ফিরতি ফ্লাইটের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ নেই। আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ শিগগিরই বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠবে যাতে দু’টি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। সে লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশে তার সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
টিআর/এএ