শুক্রবার (১৯ জুন) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপর দুই আসামি আবু আলী ও গোলাম মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আদালত আসামি রহিমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি এখন থানায় রিমান্ডে রয়েছেন।
খুলনার রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রকিব খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বি এম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডা. রকিব খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি জমির শুক্রবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। অপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জবানবন্দি শেষে জমিরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসআই মনিরুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলার আসামি খাদিজা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ ঘটনার সময় তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন বলেও স্বীকার করেন।
নগরের মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে গত ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা গত ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে গত ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৭ জুন নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এমআরএম/আরবি/