শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে শহরের সাতমাথায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান টুটুল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলার সহ-সভাপতি শ্রমিক নেতা শিব সংকর শিবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র দাস মনো, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল বর্মন, প্রচার সম্পাদক সানোয়ার বাবু প্রমুখ।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, পাট এবং পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল। গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির ফলে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশে অবস্থিত পাটকলগুলোও সরকার বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান টুটুল বলেন, বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পরিবেশবান্ধব এই শিল্পের চাহিদা দেশে এবং বিদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাট শিল্পকে আধুনিকায়ন করে নতুন উদ্যমে চালু করা হবে। কিন্তু তা না করে পাটকল বন্ধের পদক্ষেপ শ্রমিক ও দেশপ্রেমিক জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।
সমাবেশে অন্য নেতারা বলেন, প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের প্রায় ৩ লাখ সদস্য এবং পাটচাষি পরিবারের তিন কোটি সদস্য পাট ও পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জীবন ও জীবিকা ধ্বংসের আত্মঘাতী এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
কেইউএ/এনটি