কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মুফিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের পশ্চিম পাশে কলেজের জমিতে গত ২ জুলাই রাতের আঁধারে মাটি ভরাট করা হয়। আমরা জেনেছি, স্থানীয় সরওয়ার নামের এক ব্যক্তি জমি দখলের জন্য এই কাজ করছে।
‘অতীতেও কলেজের জমিতে অনেকে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে। এসব নিয়ে মামলাও চলছে। কিন্তু সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে কলেজে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির সুযোগে আবার সক্রিয় হয়েছে উঠেছে ভূমিদস্যু চক্র’, যোগ করেন তিনি।
এদিকে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ রোববার একটি বিবৃতিও দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ কক্সবাজার সরকারি কলেজের নিজস্ব খতিয়ানভূক্ত জমিতে রাতের আঁধারে ভূমিদস্যুরা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানাকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিবৃতিতে প্রশাসন, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সুশীল সমাজসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানের জমি দখলমুক্ত করার পাশাপাশি দখলবাজদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের জমি মানে কক্সবাজারের সম্পদ। এসব জমি উদ্ধারে কলেজ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসবি/এইচএডি