বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিল্লুর রহমান পাঁচলিয়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে।
পাঁচলিয়া হাটের ইজারাদার ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত রহমান বণিক সমিতির মিটিংয়ের নামে পাঁচলিয়া হাটে গণ জমায়েত করার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি আমরা ইউএনওকে অবগত করলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে দেন। পুলিশের সামনেই আরাফাত গং সেখানে মিটিং করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হন ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান। তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বণিক সমিতির সভা আহবান করার পর হাটিকুমরুল ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলমের গুন্ডাবাহিনী বাঁধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়। কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। ওই ইউপি সদস্য আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন, তাই স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়েছে। ময়নাতদন্তে ইউপি সদস্যের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
এনটি