মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্যজনক অভিযানের পাশাপাশি করোনা শনাক্তকরণ সার্টিফিকেট জালিয়াতির অন্যতম হোতা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর গ্রেফতারের পর আমাদের গোটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার গলদ সম্পর্কে গণমাধ্যমে যেসব উদ্বেগজনক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা আমাদের অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে।
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটি পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস জনিত মহাদুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে একের পর যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের এবং পরিবারের সব সদস্যের জীবন বিপন্ন করে করোনাক্রান্ত ও অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছেন। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেদের আত্মাহুতি দিচ্ছেন। আমাদের সব অর্জন সাহেদ ও সাবরিনাদের মতো জঘন্য দুর্বৃত্তদের নজিরবিহীন অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ভুয়া করোনা শনাক্তকরণ সার্টিফিকেট বিক্রি করে এ ধরনের দুর্বৃত্তরা দেশের জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের ভাবমূর্তি মলিন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেকেজির সাবরিনাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলেও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমরা এ দুর্বৃত্তের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি। একই সঙ্গে জালিয়াত চক্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কারা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাদের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত প্রতারক সাহেদ এবং তার লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালকে করোনা শনাক্তকরণ সনদ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং গোটা মেডিক্যাল মাফিয়া চক্রকে খুঁজে বের করে তাদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
‘৫৬টি মামলার আসামি সাহেদ প্রতারণার দায়ে আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ঘনিষ্ঠ এ দুর্বৃত্ত কীভাবে কাদের মদদে আওয়ামী লীগে ঢুকেছে এবং প্রতারণার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এটাও তদন্তের আওতায় আসা উচিত। কারণ বিষয়টি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা, রফতানি বাণিজ্য, রেমিটেন্স- সব কিছুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহিষ্ণুতার অঙ্গীকার ও যাবতীয় অর্জন সব কিছু প্রশ্নবিদ্ধ হবে যদি সাহেদ সাবরিনাদের গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস