এদিকে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নদীবেষ্টিত গ্রাম, চরগ্রাম ও দ্বীপচরগুলোর নিম্নাঞ্চল থেকে এখনও পানি পুরোপুরি নেমে যায়নি। ফলে বানভাসী ও বসতঘরহারা পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সরকারি হিসাব মতে ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে গত দুইদিনের বন্যায় ছয় হাজার ২৭০টি পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১৪৭টি পরিবারের বসতভিটা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং সকাল ৯টায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে পুনরায় নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিনি জানান, নদীর পানি নেমে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ ও ফ্যাড ফিউজ এলাকা থেকে রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে তিস্তার দুইদিনের ভয়াবহ বন্যার শিকার পরিবারগুলো চুলা জ্বালিয়ে রান্না করতে পারছে না বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। বাড়িতে পানি নামলেও বন্যার পানিতে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় রান্নার জন্য চুলা জ্বলছেনা। তারা শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। গবাদিপশু খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানিরও (সুপেয়) সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ফসলি জমিগুলো তলিয়ে থাকায় আমনধানের চারাগুলো নষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এমকেআর