বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ২টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিমানবন্দর ও এর আশ-পাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন।
কেউ অবস্থান নিয়েছেন নিকুঞ্জ এলাকায়, অনেকেই বিমানবন্দরের বাইরের সড়কে ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে নেত্রীর আগমনের অপেক্ষা করছেন।
বুধবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা। এরপর সেখান থেকে সরাসরি গুলশানের বাসায় যাবেন তিনি।
এদিকে দলীয় চেয়ারপারসনের দেশে ফেরা উপলক্ষে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। এরপরও নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, নাগরিক সংবর্ধনা জানানোর মতো কেনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রাখিনি। তবে ম্যাডাম বিদেশে গেলে অথবা দেশে ফিরলে নেতা-কর্মীরা তাকে বিদায় অথবা অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করে। এটা সব সময় হয়ে থাকে।
বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তখনই দেশে ফিরছেন, যখন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব পরোয়ানার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রায় ৩ মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এএম/এমএ