তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
ঢাকা: 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অনেক মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকাসহ যেখানে যেখানে পাকবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়, চট্টগ্রামও তার মধ্যে অন্যতম। সেই বিভীষিকাময় রাতের পরদিন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন।জিয়াউর রহমান চার দেয়ালের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন, আর নূরুল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইকিং করে তা প্রচার করেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে জিয়ার চেয়ে চট্টগ্রামের নূরুল হকের কৃতিত্ব বেশি।'
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ ভাষণের ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ।
জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঘোষণা তিনি ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন। আর আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ। ’
মন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির ডাক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, জাতির পিতার এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব আবদুল মালেক বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
আরআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।