ঢাকা, রবিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

কুয়েটের ‘গুপ্ত সংগঠন’র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: খুলনা বিএনপি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
কুয়েটের ‘গুপ্ত সংগঠন’র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: খুলনা বিএনপি 

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে খুলনা বিএনপি।

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে খুলনা মহানগর বিএনপি বলছে, ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ও ছবি, ভিডিও ফুটেজ পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে দেশবাসী জানতে পেরেছে, খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সূত্রপাত গুপ্ত একটি ছাত্র সংগঠন ঘটিয়েছে।

 

ঘটনার সূত্রপাত রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফ  নামের তিনজন ছাত্রদল সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় মারাত্মক আহত খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অসুস্থাবস্থায় কারাগারে প্রেরণ করেছে যাহা রীতিমত নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর সম্মানিত ভিসি, সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মীদের ওপর গুপ্ত সংগঠনের সন্ত্রাসী হামলার হাজারো প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রেসক্রিপশনে পুলিশ অসুস্থ ৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের পদ অনুসরণ করেছে যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিশেষ দলের প্রেসক্রিপশনে যে সকল চিকিৎসক, পুলিশ সদস্য এমন নিন্দনীয় কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিএনপি।  

তারা আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে মিছিলটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কতিপয় মিছিলকারী তাদের দিকে অতর্কিতে তেড়ে গিয়ে হামলা করেন। তাদের ধাওয়া দিয়ে ও মারধর করে কুয়েট গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গেটের কাছে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেই দোকানদারকেও হেনস্তা করা হয়।  

দোকানদারকে হেনস্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন যার সাথে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয় গুপ্ত ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসীরা কুয়েট ভিসি, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছেন। অবিলম্বে ওইসকল গুপ্ত সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় বিএনপি বিকল্প পথে হাঁটতে বাধ্য হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২,২০২৫
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।