ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অন্যান্য দল

পল্টন-বিজয়নগরে পাইপ ফেলে সড়কে অবস্থান হরতালকারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
পল্টন-বিজয়নগরে পাইপ ফেলে সড়কে অবস্থান হরতালকারীদের সড়কে পাইপ ফেলে গাড়ি চলাচলে বাধা হরতালকারীদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় সড়কের ওপর সুয়ারেজের পাইপ ফেলে গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন হরতালকারীরা।

এতে কাকরাইল থেকে গুলিস্তান, সদরঘাট, মতিঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসব পথে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েন অফিস ও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা এসব পাইপ সড়কের ওপর ফেলে রাখেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলছে। যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে বাড়তে থাকে গণপরিবহনের সংখ্যাও। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতালের পক্ষে বিভিন্ন সড়কে মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। পাশাপাশি মিছিল থেকে তারা সরকারের নানা সমালোচনা করে স্লোগান দিচ্ছেন। এদিকে হরতালে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি সড়কে মহড়া দিতে দেখা গেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পথচারী হাসিনা আক্তার জানান, সড়কে গাড়ি চলাচল করায় আমি নিজ গাড়ি নিয়ে অফিসের পথে রওয়ানা হই। কিন্তু বিজয়নগর এলাকায় সড়কের পাশে রাখা সুয়ারেজের পাইপগুলো সড়কে ওপর রেখে আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে অফিস যেতে হচ্ছে।

সৈকত নামে অপর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জানান, আমার মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু ৯টা থেকে কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় পায়ে হেটে ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। জানি না পরীক্ষা দিতে পাবো কি না।

তাদের মতো আরও অনেকেই কাকরাইল সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে গুলিস্তান বা মতিঝিলের দিকে যেতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা আমাদের লক্ষ্য না। আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলন করছি, সব সময় ন্যায়ের পক্ষে, মেহনতি মানুষের পক্ষে রাস্তায় আছি থাকবো।  

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আমাদের হরতালের পক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মিছিলে হামলা, বাধা দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুর, ময়মনসিংহে  গ্রেফতার করা হয়েছে, মানিকগঞ্জে মিছিল অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

শ্রমিক নেত্রী জলি তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার আবারও জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে, প্রতারণা করছে। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ আছে, পরিবহন চলাচল করতে সরকার বাধ্য করায় সড়কে ভাঙা-চোরা গণপরিবহন চলছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।