ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

১৫ আগস্ট বিষয়ে এইচটি ইমামকে জিজ্ঞেস করুন, কাদেরকে রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
১৫ আগস্ট বিষয়ে এইচটি ইমামকে জিজ্ঞেস করুন, কাদেরকে রিজভী

ঢাকা: ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে ১৫ আগস্টের মর্মস্পর্শী ঘটনার পর আওয়ামী লীগের লোকজন সরকার গঠন করলো কীভাবে? ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি ১৫ আগস্টের বিষয়ে এইচ টি ইমামকে জিজ্ঞেস করুন, তাহলেই সব উত্তর পেয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী একথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ১৫ আগস্ট লাশ ডিঙিয়ে যারা মোশতাক সরকারের স্পিকার থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপি ছিলেন, এদের অনেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তারা এমপি হলেন কীভাবে? তৎকালীন সেনাপ্রধানের কোনো দায় নেই? অথচ জিয়াউর রহমানের নাম কেন টেনে নিয়ে আসেন সেটি আমরা জানি। সেটি হলো- জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা। বাকশালের মৃত্যুকূপ থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকে আওয়ামী নেতাদের প্রতিহিংসা।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সময় বিএনপি সৃষ্টি হয়নি এবং জিয়াউর রহমানও তখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন না। তাহলে তাকে অভিযুক্ত করতে আওয়ামী নেতারা এতো তৎপর কেন? 

‘তৎকালীন সেনাপ্রধানের কোনো দায় নেই কেন? কারণ তিনি আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ইতিহাসই এর প্রমাণ। যে ব্যক্তিরা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্লট তৈরি করেছিল, যে ব্যক্তিরা খন্দকার মোশতাকের শপথে অংশ নিতে বঙ্গভবনে গিয়েছিল, সেই ব্যক্তিরাই এখন সরকারের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। ’

পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগের লোকেরাই একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা একজন আরেকজনের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স’ এর একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন- ‘বাংলাদেশে সব টেলিভিশন চ্যানেল এখন পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করছে’। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বছরের সেরা মিথ্যাচার। স্বাধীন দেশে মানুষ এখন পরাধীন। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।