মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মারমারির সঙ্গে জড়িত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির ও শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন মধুর ক্যান্টিনে অনিয়মিত থাকার পর ক্যান্টিনে আসেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের পাশের চেয়ারে বসা নিয়ে দুই সহ-সভাপতির মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এতে আহত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাংলানিউজকে তারা বলেন, ওই দু’জনের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ চেয়ারে বসা নিয়ে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম জহির বাংলানিউজকে বলেন, আমি কাউকে আঘাত করিনি। শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎকে তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে কলটি রিসিভ করেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন সাত্তার। এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে, যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে চাননি।
মারামারির ঘটনা ভিডিও করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার নুর হোসেন ইমনকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের গাড়িতে তুলে ভিডিওটি ডিলিট করানো হয়। এ বিষয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন শোভন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এসকেবি/আরআইএস/