সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তোপখানা রোডের বাসদ কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় জোট নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। পরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সভায় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পরেও আমলাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারী আইন ২০১৮ প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের এক ধরনের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। দলের গডফাদারদের সহযোগিতায় দলের নাম ভাঙিয়ে ঠিকাদারি, ক্যাসিনো বাণিজ্যের মাধ্যমে শত শত কাটি টাকা অবৈধভাবে আয় করছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে লুটপাটতন্ত্র এবং দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি ব্যাপক বিস্তৃত হয়েছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে সরকার ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। যারা সরকারকে নৈশকালীন ভোটে সহযোগিতা করেছে, সেইসব রাজনীতিবিদ, আমলা ও লুটেরাদের দুষ্ট চক্রের কাছে নতজানু এ সরকার।
সভায় আগামী ৫ অক্টোবর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ভারত সরকারের কাছে নাগরিকপঞ্জির বিষয়, সীমানায় বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকাণ্ড, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া সভায় অপরাধ-সিন্ডিকেট, মাফিয়াচক্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আগামী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জোট সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা করেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, রুহিন হোসন প্রিন্স, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
আরকেআর/এনটি