বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির হোয়াইট হলে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে কাদের একথা বলেন।
গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে ওয়াকার্স পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে মেনন অভিযোগ করেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
পরদিনই এক বিবৃতিতে মেনন বলেন, বরিশাল জেলা পার্টির সম্মেলনে আমার একটি বক্তব্য সম্পর্কে জাতীয় রাজনীতি ও ১৪ দলের রাজনীতিতে একটা ভুল বার্তা গেছে। আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ উপস্থাপন না করে অংশ বিশেষ উত্থাপন করায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪ দলের বিভিন্ন পরিসরে আলোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাশেদ খান মেনন এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি অলরেডি ‘ইউটার্ন’ নিয়ে ফেলেছেন। তিনি বলছেন, তিনি কথাটি ওভাবে বলেননি, মিডিয়ায় তার বক্তব্য খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হয়েছে। তিনি একটি দলের সভাপতি, তার অবস্থান ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেই বিষয়ে আমার মন্তব্য করাটা সমীচীন নয়। ১৪ দলে মেননের বক্তব্য নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, শরিক দলের একজন নেতার কারণে ১৪ দল ভাঙতে পারে না। একজন ব্যক্তির জন্য একটি জোটের অপমৃত্যু হতে পারে না।
সরকারের চলমান অভিযান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দলের মধ্য থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। দলের মধ্যে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মাদক ও টেন্ডারবাজি সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
‘১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে নিজের দলেই শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুদ্ধি অভিযানে প্রভাবশালী কেউ যদি জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। ’
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য দলে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে ঢোকাবেন না। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। এসব বিতর্কিত ব্যক্তিই দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরইমধ্যে যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি দলে স্থান পেয়ে থাকে, তাহলে আপনারা তাদের বের করে দিন। আওয়ামী লীগের লোকের কোনো অভাব নেই।
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা তুলে ধরে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছেও তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। আজকের শেখ হাসিনার উন্নয়নের ফলে বিরোধীদল আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুর রহমান সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য সাদেক খান, আসলাম খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সম্মেলন শেরে বাংলানগরে বাণিজ্যমেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্থান ঠিক করে দিয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/