রোববার (২৪ নভেম্বর) ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন আয়োজনে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় নেতাসহ সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণে ছেয়ে গেছে গোটা শহর।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, বীর বাহাদুর উশৈসিং, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এদিকে কাউন্সিলের কাউন্সিলরের তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা। এই নিয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মনগড়া কাউন্সিলরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পদ-পদবি না থাকার পরও একাধিক ব্যক্তিকে কাউন্সিলর করা হয়েছে। এতে সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরন্নবী, কাউন্সিলর ইসলাম উদ্দিন প্রমুখ।
এ বিষয়ে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চাইথোঅং মারমা বলেন, প্রত্যেক, পৌর, উপজেলা কমিটিই তালিকা করে পাঠিয়েছে আমাদের কাছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে কাউন্সিলরের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখানে মনগড়া কিংবা ইচ্ছেমাফিক কিছু করার সুযোগ নেই।
এদিকে সম্মেলনে ৮-১০ হাজার লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছে কাউন্সিল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগ, নয় উপজেলা ও তিন পৌরসভার মোট ২০৮ কাউন্সিলের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন।
এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ছয়জন প্রার্থী হয়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ কাউন্সিল ও সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এডি/এইচএ/