মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়।
জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ করিম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. নাজমুল হাসান কিষোর, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদের চৌধুরী, জাসদের সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহার আত্মত্যাগ যেমন ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান ও আইয়ুবের পতন নিশ্চিত করেছিল, ঠিক সেভাবেই শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মদান ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানকে অনিবার্য করে তুলেছিল। ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের আন্দোলনের কাছে সামরিক স্বৈরাচারের পতন হয়।
বক্তারা বলেন, যে কোনো জাতীয় আন্দোলনে পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জয়-পরাজয়ের নিয়ামক। পেশাজীবীরা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হবেন না। দলীয় রাজনীতির লেজুর করবেন না। তবে দেশপ্রেমিক ও রাজনীতি সচেতন হবেন। দেশের যে কোনো সঙ্কটকালে পেশাজীবীরা জাতির বিবেকের ভূমিকা পালন করেন।
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এগিয়ে নিতে সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদের দূর করতে হবে, পাশাপাশি দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
আরকেআর/এফএম