বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে ডা. মিলনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিদের সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
এসময় ডা. মিলনের সমাধিতে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
এর আগে ডা. মিলনের সমাধিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা করেন ডাক্তার মিলনের মা ও বোন।
এছাড়াও পর্যায়ক্রমে ডাক্তার মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সাম্যবাদী দল, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি, বিএনপি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৩৪ ব্যাচের মিলনের ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সামরিক শাসক এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে মারা যান তৎকালীন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিব এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
এ ঘটনার পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গণ-বিস্ফোরণের রূপ নেয়, ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়। ডা. মিলন নিহত হওয়ার দিনটিকে 'মিলন দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দলগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আরকেআর/এফএম