শনিবার (২১ মার্চ) পরিবারের সদস্যদের বরাদ দিয়ে খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন, জেলকোড অনুযায়ী একজন সাধারণ বন্দির সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও নিকটআত্মীয়দের যেভাবে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সেভাবে সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন না।
গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রতিবার অনুমতি নিতে যাওয়ার সময় নানা ঝক্কি পোহাতে হয় পরিবারের সদস্যদের ।
শামীম ইস্কান্দারের বরাদ দিয়ে শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন, জেলকোড অনুযায়ী সাধারণত প্রতিমাসে দুইবার পরিবারের সদস্য ও নিকটআত্মীয়রা দেখা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া ঈদের দিন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ বিশেষ দিনগুলোতে সাক্ষাত পাওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের সময় নানা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনোভাবে সহানুভূতি কিংবা সাক্ষাতের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে কোনো সুযোগতো দেওয়াই হয় না, বরং অমানবিক আচরণ করা হয়।
শামসুদ্দিন দিদার বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৪ জন। ইতোমধ্যে দুইজন মারা গেছেন। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া কি অবস্থায় আছেন তা জানার জন্য পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় থাকলেও তারা জানতে পারছেন না তিনি কেমন আছেন।
এসব বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে দুইবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে অবহিত করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজি প্রিজনকে বলে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের বিষয়ে যেন কোনো রকম হয়রানির শিকার না হন। কিন্তু তারপরও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতির বিষয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
গত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রথমে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকলেও অসুস্থতার কারণে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে কারা হেফাজতে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে আছেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমএইচ/এএটি