তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি সেই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ নির্বাচনে যদি আমাকেও বিজয়ী ঘোষণা করা হয় তাহলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে বাংলামোটরের হক টাওয়ারে নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
রবিউল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন একাকার হয়ে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সব কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্ট বের করে দিয়েছে। এ কেন্দ্র দখলের খবর শুনে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে গেছে। নিজেরা নাজেহাল হওয়ার ভয়ে তারা আর ভোট দিতে আসতে উৎসাহিত হয়নি। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৩৬টি কেন্দ্রে ঘুরেছি। ভোটার উপস্থিতির চিত্র খুবই ভয়াবহ দেখেছি। ’
তিনি বলেন, ‘৪৫ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে মহিউদ্দিন মাহী, মেহেদী হাসানের অবস্থা গুরুতর। গ্রেফতার হয়েছেন হাজারীবাগ থানায় ১২ জন। তার মধ্যে নয়জন আমার এজেন্ট। নিউমার্কেটে ১০ জন গ্রেফতার। সেখানেও আমার চার/পাঁচজন এজেন্ট রয়েছেন। ’
রবিউল আলম বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতির গুরুত্ব ও গণতন্ত্র বিবেচনা করে নির্বাচনে ছিলাম। জনগণের মধ্যে ভোটভীতি ছিল সেটা আপনারা জানেন। জনগণ আর ভোট দিতে চাচ্ছে না। একদলীয় কর্তৃত্ব, দখল, বল প্রয়োগের রাজনীতি, কেন্দ্র দখল করে নিজেদের মতো করে ভোট দেওয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণ ভোট না দিলেও সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে নিজেদের মতো করে ফলাফল ঘোষণা করা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারপরও আশা করেছিলাম সরকার এ নির্বাচনটা ফেয়ার করবে। কিন্তু দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটা নির্বাচন হলো। ’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো সরকার এ উপ-নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। ’
এ সময় বিএনপির প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমএইচ/আরবি/