মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ভয়াবহতা ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই সংকট ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে, এ আশংকা এখন সবার মনে।
এ প্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফা প্রস্তাবনা:
০১. সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি পেশার সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞগণ এবং দল মত নির্বিশেষে জাতির সকল অঙ্গের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গড়ে তোলা।
০২. প্রায়-যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করা।
০৩. করোনা বিস্তাররোধে বাস্তচ্যুত রোহিংগাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
০৪. কর্মহীন শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্টস নারী শ্রমিক, হতদরিদ্র দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশু-সহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্য সামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা।
৫. করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘আপদকালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা।
বিবৃতি দাতাগণ— ড. কামাল হোসেন (সভাপতি, গণফোরাম), মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব, বিএনপি), আ স ম আবদুর রব (সভাপতি, জেএসডি), ড. আবদুল মঈন খান (সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিএনপি), মাহামুদুর রহমান মান্না (আহবায়ক, নাগরিক ঐক্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী(ট্রাষ্টি, গণস্বাস্থ্য), অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী (চেয়ারম্যান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশে)।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমএইচ/ইউবি