শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রাতের নির্বাচনে গঠিত এ সরকার, তাই জনগণের ভাবনাকে তারা আমলে না নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ২২ মে স্পষ্ট করেই বলেছেন, প্রতিটি দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বীকৃত কোনো মেডিসিন আবিষ্কার হয়নি। এ অবস্থায় সব দেশই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রতিদিন বেশি সংখ্যক মানুষকে টেস্টের আওতায় এনে করোনা উপসর্গ থাকলে আগে ভাগেই আইসোলেশনে নেওয়া কিংবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকেই অন্যতম সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সরকারের উচিত দেশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টেস্টের সক্ষমতা বাড়ানো। ’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল প্রতিটি জেলা-উপজেলায় করোনা ভাইরাস টেস্ট ফ্যাসিলিটিজ নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটি না করে অফিস-আদালত, গণপরিবহন চালু করা যেন মৃত্যুর মিছিলকেই আলিঙ্গন করা। মানুষের জীবন বাঁচাতে যখন লকডাউন, আইসোলেশন ও ঘরবন্দি থাকার কথা তখনই মৃত্যুদূত করোনাকে আমন্ত্রণ জানাতে জানালা-দরজা খুলে দিয়েছে সরকার। ’
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে নিশিরাতের সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের প্রতিদিন নিয়মিত বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেই বেশি উৎসাহিত মনে হচ্ছে। প্রতিদিন বিএনপির কোনো না কোনো নেতাকে গুম অথবা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। অপরদিকে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে যাতে কেউ এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও মত প্রকাশ করতে না পারে এজন্যও চলছে গুম, হয়রানি ও জেল জুলুম। ’
রিজভী বলেন, ‘আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র র্যাব-পুলিশের মতো বিরোধীদল মতকে দমন করতেই আসেনি বরং সরকার যেভাবে ঢিলেঢালাভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইছে তাতে সবারই ভয়ের কারণ আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
এমএইচ/আরবি/