তিনি বলেছেন, মোহাম্মদ নাসিমের ডায়াবেটিস আছে। ব্লাড প্রেশারও আছে।
শনিবার (০৬ জুন) নাসিমের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে সেই বোর্ড মিটিং করে তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর মিটিং শেষে বোর্ডের সদস্য ডা. দ্বীন মোহাম্মদ এ কথা বলেন।
মিটিং শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক পরিস্থিতি ডিপ ক্রিটিক্যাল। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ সময় না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।
শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন। তাকে আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায়। বোর্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ও অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ রয়েছেন।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অপারেশনের পর চিকিৎসকরা মোহাম্মদ নাসিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন। এবার তা বাড়ানো হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তার উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে। তারা কেবলই মিটিং শেষ করেছেন। মিটিংয়ে তার পরবর্তী উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
এর আগে শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করেন মোহাম্মদ নাসিম। পরে জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়।
গত সোমবার (০১ জুন) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। এরমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শুক্রবার সকালে ব্রেন স্ট্রোক করেন।
এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার দ্বিতীয়বার স্ট্রোক করলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এসকে/টিএ