শুক্রবার (০৩ জুলাই) সকাল ১০টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ হক।
এরপর থেকে হাসপাতাল, নগরের সুবহানিঘাট সংলগ্ন যতরপুরের বাসা সবখানেই বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এম এ হককে হারিয়ে সিলেট বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। সিলেটের মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিগত দিনে রাজপথে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন এম এ হক। তিনি খুব শান্তশিষ্ট মানুষ ছিলেন। তার চলে যাওয়া বিএনপির রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা এম এ হকের মৃত্যুতে সিলেট বিএনপি পরিবার হারিয়েছে একজন দল প্রেমিক নিবেদিত নেতাকে। দেশ এবং দলের এই দুঃসময়ে এম এ হকের মৃত্যুতে সিলেট বিএনপি পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়।
এম এ হকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
১৯৫৪ সালের ১ জুলাই সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজারের কুলুমাগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সঙ্গে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জড়িত তিনি। ১৯৯৩ সালে তিনি বিএনপির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। টানা এক যুগ তিনি সভাপতি হিসেবে সিলেট বিএনপিকে নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ওই বছর তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০০৩ ও ২০০৮ সালে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে লড়েন তিনি।
সর্বশেষ ২০১২ সালে সিলেট মহানগর বিএনপির কোন্দল নিরসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে দায়িত্ব দেন। সেসময় মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও বর্তায় তার কাঁধে। আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি হক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেও তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন সবসময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এনইউ/এইচএডি