বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা তিনি। কিন্তু দলে ঢোকার পর থেকেই মোস্তাফিজুর রহমানকে লড়তে হচ্ছে ইনজুরির সঙ্গে। ফাইল ফটো
একজন প্লেয়ার কত বছর খেলবে এটা কিন্তু মোটামুটি সীমাবদ্ধ। আমরা ধরে নেই ১৫ বছরের মতো হয়তো খেলবে। এখানে আসলে কিভাবে শুরু ও এগিয়ে চলা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরুতেই স্পেশালাইজড হয়ে যাই। দেখেন ১২-১৪ বছর বয়সেই আমাদের প্লেয়াররা স্পেশালাইজড হয়ে যাচ্ছে লেগস্পিনার, অফস্পিনার হিসেবে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন পাবেন না কিন্তু। আদর্শ ধারণা হচ্ছে ১৪-১৫-১৬ বছর বিভিন্ন টাইপের গেমে আপনি খেলতে থাকবেন। এবং নিজেকে প্রস্তুত করে নেবেন। একজন ক্রিকেটার ফুটবল যেমন খেলবেন, তেমনি সুইমিংও করবেন। জিমন্যাস্টও হতে পারেন। স্পেশালাইজেশন পরে।
আগের অংশ পড়ুন>> ক্যালকুলেটিভ রিস্ক ও তার ঝুঁকি
কিন্তু আমাদের দেশে সেটা দেখি না, আক্ষেপের স্বরে বলেন এই ফিজিও। তিনি বলেন, ১২-১৪ বছর বয়সে স্পেশালাইজড করা হচ্ছে।
১২ বছর বয়সে স্পেশালাইজড হয়ে গেলে তার ক্যারিয়ার ২৭ এ গিয়ে শেষ। অথচ বাইরের দেশে ক্যারিয়ার শুরুই হয় ২০ এর পরে। ৩০-৩৫ বছর পর্যন্ত তারা সার্ভিস দিয়ে যায়। বলা হয়, ৩০ এর পরে ক্রিকেটারদের ম্যাচিউরিটি আসে। তখন একটা প্লেয়ার পুরোপুরি সার্ভিস দিতে পারেন।
প্রি-ম্যাচিউরড অবস্থায় অনেক কিছু করে ফেললে কিন্ত মাথা বিগড়ে যায়, বলেন দেবাশীষ। আরলি স্পেশালাইজড মানে ক্যারিয়ারও আর্লি শেষ। জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু সহজে সিনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না।
দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানালেন, অনূর্ধ্ব-১৪ তে টুর্নামেন্ট দেওয়া ঠিক কিনা-এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ওই বয়সে কেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগ্রহ থাকবে? সে প্রশ্ন তুলে নিজেই একটা সমাধান দিলেন, এদের জন্য ফেয়ারপ্লে ট্রফি থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এসকে/এমএমকে
পড়ুন প্রথম অংশ>> ইনজুরি জুজু ক্রিকেটে! সমাধান কোন পথে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।