ফ্রেঞ্চ ওপেন ব্যতীত ইউরোপিয়ান ক্লে-কোর্ট (লাল মাটির কোর্ট) সিজন এড়িয়ে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ফেদেরার। থাকতে চান বিশ্রামে।
ফেদেবারের অভিমত, ‘আমি সুস্থ থাকতে চাই। কারণ যখন আমি সুস্থ থাকি এব ভালো অনুভব করি এমন টেনিস উপহার দিতে পারি। অামি এখন আর ২৪ বছর বয়সী যুবক নই। তাই একটি বড় উপায়ে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। সম্ভবত ৎ ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া কোনো ক্লে-কোর্ট ইভেন্টে খেলবো না। আমার বিশ্রাম প্রয়োজন, শরীরের নিরাময় প্রয়োজন। আমার প্রস্তুতির সময় দরকার। ’
ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর আগে এটিপি’র (অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনালস) চারটি বড় ক্লে-কোর্ট ইভেন্ট রয়েছে। মন্টে কার্লো, মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও রোম ওপেন।
বলা বাহুল্য, ক্লে-কোর্টে ফেদেরারের দুর্বলতা পরিসংখ্যানে স্পষ্ট! বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মাত্র একবারই ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন ১৮ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। ২০০৯ আসরে। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে শুধুমাত্র ফ্রেঞ্চ ওপেনই হয় ক্লে-কোর্টে।
হাঁটুর সার্জারির কারণে গত বছরের অর্ধেকটা সময় মিস করেন ৩৫ বছর বয়সী ফেদেরার। ২০১৭ মৌসুমে দুর্দান্তভাবেই কোর্টে ফেরেন। চারটি টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতেই চ্যাম্পিয়নের আসনে বসেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ামির ফাইনালের মধ্য দিয়ে নাদালকে টানা চারটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারান ফেদেরার। সরাসরি সেট ৬-৩, ৬-৪ গেমের জয়ে বছরের তৃতীয় বড় শিরোপা নিশ্চিত করেন সাবেক ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রোমাঞ্চকর ফাইনালেও ফেদেরারের কাছে হার মানেন নাদাল। ২০১৭ সালে তিনবারের মুখোমুখি লড়াইয়েই ধরাশায়ী স্প্যানিশ সেনসেশন। গত মাসে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্সের চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায় নেন। ২০১৫ সালের সুইস ইনডোর্স ফাইনাল থেকেই ফেদেরারের বিপক্ষে জয়হীন সাবেক বিশ্বসেরা নাদাল। গত বছর দু’জনের সাক্ষাৎ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম