রেকর্ড স্পর্শ করতে ২৪ বছর বয়সী সৌম্যর চাই আর মাত্র ৭৫ রান। সেটি বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করার।
চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫ রানে আউট হন। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেরেন স্বরূপে, করেন ৬১ রান। তৃতীয় ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে বিধ্বংসী সৌম্য ৬৮ বলে ১১টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৮৭ রান।
বাংলাদেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে সৌম্যর সংগ্রহ ৯২৫ রান। আর ২০০৬ সালে ২৯ ম্যাচ খেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ড গড়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। যে রেকর্ড ১১ বছর ধরে অক্ষুণ্ণ রয়েছে। সৌম্যর সামনে সুযোগ রয়েছে নাফিসকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। এজন্য আরও ৩টি ইনিংস খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। বুধবার (২৪ মে) ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সৌম্য বর্তমানে যে ফর্মে আছেন তাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচেই তিনি এই রেকর্ড গড়ে ফেলতে পারেন।
ক্রিকেট বিশ্বে দ্রুততম ১ হাজার রানের কীর্তি ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের। তিনি ১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে ক্যারিয়ারের ২২তম ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এই তালিকায় আরও রয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ, কেভিন পিটারসন, জোনাথন ট্রট, কুইন্টন ডি কক বাবর আজমের মতো ক্রিকেটাররা। ২ হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত সবক’টি মাইলফলক সবচেয়ে কম ইনিংসে ছুঁয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা। দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ডটি বিরাট কোহলির। দ্রুততম ৯ হাজার করার আগে সবচেয়ে কম ইনিংস (১৯০) খেলে ৮ হাজার রান ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ২৩ মে ২০১৭
এমআরপি