মেসিকে ২০১৭ ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে দেখিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এটি আদৌ ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীর কাভার ছবি কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত আসছে বিখ্যাত সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল। আগামী ৭ ডিসেম্বর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অফিসিয়ালি ২০১৭ ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে।
তার আগেই অনুমিত কাভার ছবিতে মেসির উপস্থিতি রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর সত্যতা কতটুকু তা অচিরেই হয়তো জানা যাবে। মেসিকে ছোঁয়ার অপেক্ষার থাকা চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোর ভক্তরা তো ক্ষুব্ধ হতেই পারেন।
ইউরোপের অন্যতম স্বনামধন্য ম্যাগাজিন এটি। প্রতি সপ্তাহে পুরো ওয়ার্ল্ডের ফুটবল খবরাখবর তুলে ধরে। ফটোগ্রাফিক রিপোর্টের জন্য এর ঈর্ষান্বিত জনপ্রিয়তা। বিস্তারিত ও বিশেষ সাক্ষাৎকার এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের সঠিক পরিসংখ্যান ও ইউরোপিয়ান লিগগুলোর ব্যাপক কাভারেজ দেয় ফ্রান্স ফুটবল। ১৯৪৬ সালে প্রথমবার এটি প্রকাশিত হয়। এর সদরদপ্তর প্যারিসে।
ফিফার সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি শেষের পর ২০১৬ সাল থেকে আলাদা হয়ে যায় ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’। ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ এর বদলে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার’ নামকরণ করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের নাম ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’। টানা দু’বারই সেরার আসনে বসেন রোনালদো। ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে ব্যতিক্রম হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হতো। এরপর ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো দেশের খেলোয়াড়দের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপ সেরার বদলে বিশ্বের সেরা প্লেয়ার হিসেবে বিজয়ীর হাতে মর্যাদাপূর্ণ এ ট্রফিটি তুলে দেওয়া হয়।
২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার (১৯৯১ সাল থেকে শুরু) আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে রূপ নেয় ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ এ। গত আট বছর ধরেই বর্ষসেরার খেতাব মেসি (পাঁচ বার) ও রোনালদোর দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম