এ ম্যাচ জিতে আবার পয়েন্ট টেবিলে চার থেকে সোজা শীর্ষে উঠে গেল কুমিল্লা। ৯ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৩টি হারে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে দলটি।
২৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করে খুলনা। ৫.৩ ওভারে ৫৫ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। তবে ২৪ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রানে মেহেদি হাসানের বলে ফেরেন জুনায়েদ।
কিন্তু এরপর শহীদ আফ্রিদির শিকারে খুব দ্রুতই মাঠ ছাড়েন ডেভিড মালান ও খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট কিছুটা চেষ্টা করলেও ১৩ বলে ২২ করে পেরেরার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন।
পরে দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ করা টেইলরকে নিজের ক্যাচে পরিণত করে আউট করেন আফ্রিদি। ৩৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ফিফটি করেন জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান। ১২ বলে ১৪ করে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর দুই রান করে রান আউটের শিকার হন আরিফুল হক।
১৯তম ওভারে ওহাব রিয়াজ জ্বলে ওঠেন। করে বসেন হ্যাটট্রিক। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তুলে নেন যথাক্রমে ডেভিড উইসি, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাদ্দামকে। চলতি বিপিএল আসরে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে ঢাকা ডায়নামাইটের স্পিনার আলিস ইসলাম প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান।
কুমিল্লা বোলারদের মধ্যে আফ্রিদি ও ওহাব সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন সাইফ, মেহেদি ও পেরেরা।
এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা ও কুমিল্লা। যেখানে এভিন লুইসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে খুলনার সামনে ২৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় কুমিল্লা।
আরও পড়ুন..বিপিএলে লুইসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে কুমিল্লা। ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস মিলে গড়েন পঞ্চাশর্ধ রানের জুটি। তবে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে তামিমকে ফিরিয়ে দেন ওয়েসি। আউট হয়ে ফেরার আগে ২৯ বলে ২৫ রান করেন তামিম।
পরের বলেই শূন্য রানে এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন আমহমুদউল্লাহ। তবে সেটি আর হয়নি। খুলনার বোলারদের উপর এক প্রকার ঝড় চালান লুইস ও ইমরুল কায়েস। তবে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ইমরুল আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে ৯৭ রানের জুটি।
দুর্দান্ত শুরু করেও বেশি সময় টিকতে পারেননি থিসারা পেরেরা। মাত্র ৪ বলে ১১ রান করে কার্লোস ব্রাথওয়েটের বলে ফেরেন এই লঙ্কান।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন লুইস। তার ব্যাটে ভর করে বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৭ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। তার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান (২৮)।
এর আগে, চলতি আসরে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ করা ২৩৯ রান এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমএমএস