এ ঘটনায় কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া বুধবার (১৫ মে) ধোবাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন বলে জানা গেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ জানিয়েছেন, তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
অধ্যক্ষ রতন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, পবিত্র মাহে রমজানের জন্য এখন বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে গণিত বিভাগের বিশেষ ক্লাস চলছে বিদ্যালয়টিতে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে শিক্ষক উজ্জ্বল বিশেষ ক্লাসের জন্য বিদ্যালয়ে গেলে অফিস কক্ষে আগুনের ধোয়া ও অফিস কক্ষের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান।
‘পরে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সনদপত্র, মেয়েদের খেলার সার্টিফিকেট, মেডেল, রেজ্যুলেশন বই, কারিগরি শাখার কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এছাড়া একটি পেনড্রাইভও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ’
তিনি জানান, গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নারী ফুটবলারদের সনদপত্র ও মেডেল ছিলো অফিসের আলমারিতে। এর মধ্যে কৃতী খেলোয়াড় শামসুন্নাহার, রোজিনা ও সাজেদার সার্টিফিকেট ও মেডেল পুড়ে গেছে।
জানতে চাইলে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ মোল্লা জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জাগরণ তৈরি হয়। এ বিদ্যালয় থেকে মারিয়া মান্দা, সাজেদা, রোজিনা, তহুরা, সানজিদাসহ কমপক্ষে ১৩ জন ফুটবলার দাপটের সঙ্গেই জাতীয় দলে খেলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এমএএএম/এমএ