এরই ফলে এ নিয়ে পাঁচবার ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের হার দেখল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমনটি প্রথমবার, আর ঘরের মাঠে দ্বিতীয়।
নিচে দেখে নেওয়া যাক এ ম্যাচ জিতে অজিরা যেসব রেকর্ড গড়েছে:
১-রান তাড়ায় ওয়ানডে ইতিহাসে এর থেকে বেশি আর মাত্র একটি ইনিংস আছে। অস্ট্রেলিয়া এদিন ২৫৬ রান তাড়া করে জয় পায়। আর মূল রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৭৯ রান তাড়া বিনা উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
২৫৮-ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের এই জুটি ভারতের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে, যেকোনো দেশের রেকর্ড পার্টনারশিপ। আগেরটি ছিল অন্য দুই অজি জর্জ বেইলি ও স্টেভেন স্মিথের। ২০১৬ সালে তারা পার্থে ২৪২ রান করেছিলেন। তবে সবমিলিয়ে রান তাড়া করতে নেমে যেকোনো জুটির এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি। মজার ব্যাপার অজিদের সেরা তিনটি জুটিতেই ওয়ার্নার আছেন।
০-ভারতের মাটিতে ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের ২৫৮ রানের জুটির ওপরে ওপেনারদের আর কোনো পার্টরানশিপের রেকর্ড নেই। উদ্বোধনীতে নেমে ২০০০ সালে কোচিতে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার গ্যারি কারেস্টেন ও হার্শেল গিবস।
২-এনিয়ে দ্বিতীয়বার রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আগের একমাত্র রেকর্ডটি ছিল ২০০৬ সালে গ্যাবায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও সাইমন ক্যাটিচের। আর ভারতের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ দলের ওপেনাররা এই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
১০৬-ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের এটি ব্যাটিং গড়। এনিয়ে ভারতের বিপক্ষে এই জুটি ১০বার খেলেছে। যেখানে দু’জন মিলেন ৯৫৪ রান তুলেছেন, তিনটি ছিল সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। তাদের এই গড় অন্তত ১০টি ম্যাচ খেলা জুটির মধ্যে সর্বোচ্চ।
৩-ওয়ার্নার থেকে মাত্র তিনজন বেশি ব্যাটসম্যান ৫ হাজার রান করতে কম ইনিংস খেলেছেন। ১১৫ ইনিংসে বাঁহাতি এই ওপেনার ৫ হাজার রান পেলেন। ১০১ ইনিংস এই রান তুলে শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা। আর অজিদের মধ্যে ডিন জোন্স এর আগে ১২৮ ইনিংসে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এমএমএস