দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। এর আগে শুধু মাত্র রকিবুল হাসানের এই কীর্তি রয়েছে।
এরপর নাসির হোসেন ২৯৫, মার্শাল আইয়্যুব ২৮৯ মোসাদ্দেক হোসেন ২৮২ আর লিটন দাস ২৭৪ রান করে এই মাইলফলকের কাছাকাছি গিয়েও মিস করেন। কিন্তু তামিম ৫৯৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪২৬ বল খেলে অপরাজিত ৩৩৪ রান করেন।
তামিমের চেয়ে রকিবুল আরও দীর্ঘ সময় ব্যাট করেছেন। সয়ম আর বলও বেশি। তাই দিন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রকিবুলের ইনিংসটার প্রশংসা করেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা এভাবে ভাবিনি। তবে আমি যখনই চিন্তা করি যে রকিবুল একমাত্র যে তিনশ করেছে, তখন ভাবতাম যে কত ধৈর্য থাকলে তিনশ করে ফেলেছে। এটা তো এত সহজ না। আগের উইকেটতো আরও স্লো ও স্পিনিং থাকত। এই জায়গায় তিনশ করা কঠিন। একটু যদি ফাস্ট থাকে, আউটফিল্ড যদি ভালো হয় তাহলে একটু সহজ হয়। আমাদের উইকেটে চিন্তা করলে কঠিন। এটা সব সময় চিন্তা করতাম উনি করলো কিভাবে। আমাদের জাতীয় দলে ডেসিং রুমেও এটা নিয়ে আলোচনা হতো এবং আমরা ভাবতাম একজন কিভাবে এত বল খেলল। ও তো মনে হয় ৬০০’র মতো বল খেলেছে। ওটাই আর কি। এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ’
তামিম আরও বলেন টেস্ট ক্রিকেটে তিনশ রান করা মোটেও কোনো সহজ কাজ না, সেটা যেখানেই হোকনা কেনো। তামিম বলেন, ‘এটা স্পেশাল ইনিংস। তিনশ করা যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কঠিন। আবার যেকোনো লেভেলেই এটা করা কঠিন। এটা যদি সহজ হতো তাহলে প্রত্যেক মাসে একজন করে দেখতেন যে তিনশ করছে। এটা খুব স্পেশাল। আমার হৃদয়ে খুব বড় জায়গায় এটা থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএআর/এমএমএস