ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

অস্বস্তির দিনে প্রাপ্তি মিঠুনের প্রতিরোধ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
অস্বস্তির দিনে প্রাপ্তি মিঠুনের প্রতিরোধ মোহাম্মদ মিঠুন

দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।  এর মাঝে ফিফটিও তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু দিনশেষে তাদের এই প্রতিরোধ স্বস্তির কারণ হতে পারেনি। কারণ দিনের শেষভাগে দুজনের বিদায়ের পর একই পথ ধরেছেন বাকিরাও। ফলে ২৩৩ রানেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এরপরই প্রথমদিনের খেলারও সমাপ্তি টানা হয়।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ।  

দলের দুঃসময়ে নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন মুমিনুল হক।

কিন্তু বিপদটা না কাটতেই দলীয় ৬২ রানের মাথায় উইকেটে সেট হয়ে শাহীন আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন টাইগার অধিনায়ক (৩০)।

অধিনায়কের বিদায়ের পর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে বাংলাদেশ। ওই সময় ফিফটি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ছিলেন শান্ত।  

ফিফটি ছুঁইছুঁই অবস্থায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বিরতির ঠিক পরের ওভারেই বিদায় নিতে হয় তাকে। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের করা ওই ওভারের পাঁচ বল ঠিকঠাক সামলালেও শেষ বলে ধৈর্য হারিয়ে বসেন শান্ত। অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের বলে অযথা শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

শান্ত বিদায় নেওয়ার পর টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যান (২৫)।  

১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে পথ দেখাচ্ছিলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু দুজনে মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়ার পর হারিস সোহেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লিটন। মাঠের আম্পায়ার যদিও শুরুতে আউট দেননি, কিন্তু রিভিও নেয় পাকিস্তান আর তাতে আসে আউটের সিদ্ধান্ত। বিদায়ের আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।

লিটনের বিদায়ের পরই প্রতিরোধ গড়েন মিঠুন ও তাইজুল।  ৭২ বলে ২৪ রানের ধৈর্যশীল খেলে তাইজুল বিদায় নিলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রতিরোধের লড়াই। কারণ এরপর দ্রুত বিদায় নেন রুবেল হোসেন। কিছুক্ষণ পর হাল ছেড়ে দিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন দিনের সেরা ব্যাটসম্যান মিঠুনও। নাসিম শাহ’র শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪০ বলে ৬৩ রান। ইনিংসটি ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। এরপর কোনো রান করার আগেই রান আউটের শিকার হয়ে দলের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান আবু জায়েদ।

বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেলের দখলে। ১টি উইকেট গেছে নাসিম শাহ’র ঝুলিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।