ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

পাহাড় পেখম খোলে চিম্বুকে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
পাহাড় পেখম খোলে চিম্বুকে ছবি: আবু বকর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান থেকে ফিরে: নীল আসমানে খেলছে  সাদা মেঘ।   চলছে সূর্যের সঙ্গে লুকোচুরিও।

সেই খেলায় সাড়া দেয় সবুজ বৃক্ষরাজিতে আচ্ছাদিত পাহাড়-সারি। পর্যটকরা পাহাড়ে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত আর দিনভর অপরূপ  আলো-ছায়ার এ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ছুটে আসেন চিম্বুকে।

অবশ্য চিম্বুক ছাড়াও পাহাড়ি রূপসুধা উপভোগের আরও কিছু জায়গা আছে বান্দরবানে। এর মধ্যে কেওক্রাডং, নীলাচল, নীলগিরিই বিশেষ খ্যাতি অর্জন করছে। তবে এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে চিম্বুক।

তাই বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরের এ পাহাড় চূড়ায় প্রতিদিন ভিড় জমান দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। শৈলপ্রপাত, ওয়াই জংশন পেরিয়ে চিম্বুকের অবস্থান। ২০১৩ সালে সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় চিম্বুক পাহাড়কে গেজেটভুক্ত ও সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে।

জেলা প্রশাসনের একটি রেস্ট হাউস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের গোলাকৃতি রেস্ট হাউস 'গিরি নিবাস', মোবাইল অপারেটর টেলিটকের একটি টাওয়ার, কেয়ারটেকারের বাসা রয়েছে পাহাড় চূড়ায়। চলছে জেলা প্রশাসনের ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও ভেষজ বাগানসহ ব্যাপক উন্নয়নকাজও।

গিরি নিবাসের পাশেই মাং চ্যাং ম্রো'র ছোট্ট চায়ের দোকান ও বাসা। এই বৃদ্ধের অপূর্ব স্বাদের লেবু চা পান করে তৃপ্ত হন পাহাড়প্রেমী পর্যটকেরা। প্রতি কাপ চা মাত্র পাঁচ টাকা।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) চিম্বুকে কথা হয় ৪৫ সদস্যের দল নিয়ে পিকনিকে আসা বগুড়া আজিজুল হক কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র হাবিবুর রহমানের সঙ্গে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, চিম্বুকের নাম আর সৌন্দর্যের বর্ণনা শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে। এতো সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মনে হচ্ছে টাকা উসুল হয়ে গেছে।   একনজরে সব পাহাড় দেখতে পাচ্ছি।

চিম্বুক পাহাড়ের কেয়ারটেকার মাং চং জানালেন, প্রতিটি সরকারি ছুটিতে চিম্বুকে পর্যটকের ভিড় থাকে।

বিশ্রামাগার এলাকার পর মূল রাস্তা ধরে কিছু দূর এগুলে দেখা যাবে- সূর্যোদয় দেখার প্লাটফর্ম, যেখানে তরুণরা সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এখানে কথা হয় ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা মো. আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, খুব সুন্দর এলাকাটি। এখানে বারবার আসতে ইচ্ছে করছে।

চিম্বুকে পর্যটকদের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি রকমারি শাল, মাফলার ছাড়াও প্রচুর পেঁপে, কলা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, আখ, মোসাম্বি বিক্রি করেন উপজাতীয় নারীরা।

সূর্যোদয়ের সেলফি তোলার স্থানে ক্যাফে টোয়েন্টি নাইনে ৩৫ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়:  ২০১১ ঘণ্টা,  অক্টোবর ২৪, ২০১৬,
এআর/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।