মংলা (বাগেরহাট) থেকে: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তজার্তিক বন্দর মংলায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখছেন মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান।
পর্যটনবান্ধব ওসি লুৎফর রহমানের মতে, সুন্দরবনে প্রবেশ দ্বার মংলা হতে পারে অন্যতম পর্যটন নগরী।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মংলা থানায় নিজ কার্যালয়ে বাংলানিউজকে এসব কথা জানান ওসি লুৎফর রহমান।
দেশের অন্য যে কোনো থানার তুলনায় মংলা বেশি নিরাপদ। তাই পর্যটকদের জন্য মংলা অন্যতম ডেসটিনেশন হতে পারে। মংলার ট্যুর অপারেটর বা লঞ্চের মালিকদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করলে ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। মুখ থুবড়ে পড়বে ব্যবসা। তাই ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আশাকরি এখন পর্যন্ত সেভাবেই চলছে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। কোনো পর্যটক সহযোগিতা চাইলে দেই। আর বিদেশি পর্যটকরা সহায়তা চাইলেও দেই, না চাইলেও দেই। বিদেশি পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেই আমরা।
চাঁদপাই রেঞ্জের মংলা, বাগেরহাট থানার ট্যুরিজম স্পটে ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ওসি জানান, পদ্মা সেতু বা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরো এলাকায় হয়ে উঠবে পর্যটন নগরী।
মংলা থানার ওসি বলেন, আমরা কোস্টগার্ড, বন বিভাগ, নৌ পুলিশের সঙ্গে সন্মলিতভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি। কোনো ট্যুরিস্ট সহযোগিতা চাইলে তাদের সহায়তা করি।
বর্তমানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক মংলায় আসছে বলেও জানান তিনি। মংলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে দেখতে চাইলে এখানে কয়েকটি ভালো মানের হোটেল-রেস্তোরাঁ করা দরকার। আসলে এই মুহূর্তে মংলায় একমাত্র পশুর হোটেল ছাড়া ভালো কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁ নেই। একটা পর্যটন নগরীতে একটি হোটেল একদমই বেমানান।
অতীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পর্যটক না এলেও এখন বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসছে। আর মংলা সব সময় নিরাপদ ছিলো, এখনও আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এসএম/জিপি/এএ
** রাতের দুবলার চর
** সরু হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা
** হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর
** মধুমতিতে আয়েশি ভ্রমণ