ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

খুলনায় বসে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ দেখা!

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
খুলনায় বসে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ দেখা! ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা/ ছবি: আসিফ আজিজ

আগে আইল্যান্ডটি ছিল ভাঙাচোরা। ময়লা ফেলতে ফেলতে তা রূপান্তরিত হয় ময়লার ভাগাড়ে। দুর্গন্ধে পথচলা দায় হয়ে পড়ে পথচারীদের।

খুলনা ঘুরে: আগে আইল্যান্ডটি ছিল ভাঙাচোরা। ময়লা ফেলতে ফেলতে তা রূপান্তরিত হয় ময়লার ভাগাড়ে।

দুর্গন্ধে পথচলা দায় হয়ে পড়ে পথচারীদের। এক সময়ের সেই ময়লার ভাগাড়ে এখন সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ।

খুলনার বিখ্যাত জায়গা ময়লাপোতা মোড়ে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা। রয়্যালের মোড় থেকে ময়লাপোতা মোড় পর্যন্ত ‍আইল্যান্ডসহ ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা তৈরির একটি প্রস্তাব দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের চিফ প্ল্যানিং অফিসার আবিরুল জব্বার।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কাজটি বাস্তবায়ন করে ভিউ ফাইন্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা/ ছবি: আসিফ আজিজচিংড়ি ভাস্কর্য, ক্রিকেট ভাস্কর্যসহ নগরীর বিভিন্ন স্থাপনার উদ্যোক্তা আবিরুল জব্বারের উদ্দেশ্য ছিল নগরবাসীকে একটু স্বস্তি দেওয়া। কারণ ময়লা-আবর্জনা-দুর্গন্ধে ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেখানে এখন শোভা পাচ্ছে ঐতিহাসিক এ মসজিদের রেপ্লিকা।

সবুজ গাছঘেরা আইল্যান্ডের পাশপাশি মোড়ের এ স্থাপনাটি খুলনা মহানগরীতে বেড়াতে আসা ‍পর্যটকদেরও দৃষ্টি কাড়ে। স্থাপনা তৈরির শুরুতে খুলনার মানুষ নিয়মিত এখানে বেড়াতে আসতো, দেখতে আসতো তাদের নতুন ষাটগম্বুজ। এখনও পর্যটকরা খুলনা এলে এ স্থাপনাটি দেখার জন্য ময়লাপোতা যান বলে জানান আবিরুল জব্বার।

ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা/ ছবি: আসিফ আজিজপ্রকল্পটির ব্যয় ছিল ৪৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শুধু মসজিদটি তৈরি করতে খরচ হয় ২৫ লাখ টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার একটি দল তিনমাস কাজ করে এটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করে।

রেপ্লিকাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের আট গুণ ছোট বলে জানান জব্বার। বাহ্যিক ডিজাইনে পুরোপুরি মূল মসজিদের সবকিছু রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। রংও পোড়ামাটির। তবে তৈরি কংক্রিট দিয়ে। ছোট্ট এ মসজিদটিতেও সাতটি চৌচালা গম্বুজসহ মোট গম্বুজ সংখ্যা ৮১টি।

সামনের দরজা, জানালা, সবুজ চত্বরেও চেষ্টা করা হয়েছে মূল মসজিদের সঙ্গে হুবহু মিল রাখতে।

ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপ্লিকা/ ছবি: আসিফ আজিজমসজিদের পেছনের দিকে একটি বড় বিলবোর্ড থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে এর নির্মাণ ব্যয় তোলা হচ্ছে বলেও জানান চিফ প্ল্যানিং অফিসার জব্বার।

যারা এখনও বাগেরহাটে গিয়ে ষাটগম্বুজ দেখার সুযোগ পাননি, কিংবা খুলনায় বেড়াতে যান, তারা ময়লাপোতা মোড়ে গিয়ে দেখে নিতে পারেন ষাটগম্বুজ মসজিদের  দৃষ্টিনন্দন এ রেপ্লিকাটি।

আরও পড়ুন:
**দাদার লাশ টোপ দিয়ে বাঘ শিকার করেন পচাব্দি গাজী
** ওষুধিগুণে চাহিদা বাড়ছে খুলনার চুইঝালের
** ষাটগম্বুজ মসজিদে কত গম্বুজ!
** চিনে খান খুলনার বিখ্যাত চুইঝাল
** ট্যাংরা-পারসের ছটফটানি বাগেরহাট বাজারে (ভিডিও)
** ‘উলুঘ খানের’ ঘোড়া দীঘি টানছে পর্যটক (ভিডিও)
** বাগেরহাটের মিনি কুয়েত!
** পরিযায়ী পাখি যাচ্ছে পর্যটক-ব্যবসায়ীর পেটে
** সুন্দরে এতো হিংসে কেন!

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।