শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টা। গন্তব্য রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা।
নেপালের সুউচ্চ পাহাড় কেটে কেটে গড়ে তুলেছে বসতি। বসতির পাশাপাশি পাহাড়ের কোলে তারা উৎপাদন করছে নানা ফসল। এর মধ্যে রাস্তার দু'ধারে দেখা মিলল ধান, বাঁধাকপি, মূলাসহ নানা কৃষিজ পণ্য।
সম্প্রতি প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল দেশটিতে। খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ এক দেশ নেপাল। পাহাড়ের ধারে বসতি গড়ে তোলা, ঢালে কৃষিকাজ করার বিষয়ে জানতে চাই ট্যুরিস্ট বাসচালক রামের কাছে। বাংলানিউজকে রাম জানান, ভূমিকম্পের পর কৃষিকাজ করে বেশির ভাগ নেপালি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কাঠমান্ডু শহরে বাড়ি হলেও অনেকে শহর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে নানা ফসল উৎপাদন করে। যদিও বেশিরভাগ পাহাড় পাথরময়। পাহাড়ের নিচ পাদদেশের যেখানে মাটি নরম অংশ, সেখানেই ধান চাষ করা হয়। পাশাপাশি নানান জাতের সবজিরও চাষ করা হয়। যা নেপালের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটাচ্ছে।
পথিমধ্যে মহাদেব বেশী নামে এক এলাকার রাস্তার ধারে চোখে পড়লো বাঁধাকপির চাষের দৃশ্য। উপরে সুউচ্চ পাহাড়, নিচে পাহাড়ি ঝর্ণা, ঝর্ণার পাশেই বাঁধাকপির চাষ। সেখানে কাজ করছে কয়েকজন নারী।
উঁচু পাহাড়ের ধারে আঁকাবাঁকা পাহড়িঁ সড়ক এবং বসতঘর। এ বসতঘরের সাথে লাগানো দোকানপাট। যেখানে দেদারসে বিক্রি করছে দৈনন্দিন নিত্য সামগ্রী। বাড়িগুলো নির্মিত হয়েছে পাহাড়ি পাথর ও সিমেন্ট দিয়ে। তবে বেশ কিছু বাড়ি তিন, চারতলা। এগুলো নিপুণ সৌন্দর্যমণ্ডিত। এগুলোর কারুকাজ পর্যটকদের নজর কাড়ছে বেশ।
উচু-নিচু, আঁকাবাঁকা সড়ক দিয়ে হরেক যানবাহন চলাচল করলেও এসবের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকেরই আধিক্য। পথিমধ্যে আরও চোখে পড়লো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকটি মন্দির। পোখরা পৌঁছার কিছু আগে দেখা মিলল মুসলমানদের মসজিদ এবং মাঝপথে বৌদ্ধদের প্যাগোডা। সড়কের পাশ বেয়ে সমতল এলাকায় খেলাধুলার জন্য দু’একটি স্টেডিয়ামেরও দেখা মিলল। সেইসঙ্গে ছোট বড় বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসবি/ আইএসএ/ টিসি/জেএম