স্থানীয় সময় ভোর ৫টা। সাগরের পাড়ে আল কোর্নিশ ধরে এগোতে থাকি।
খুব দ্রুত রক্ত লাল সূর্যটা উঠতে থাকে। মিউজিয়াম অব মুসলিম আর্টের পেছন থেকে কয়েকটা খেজুরগাছের আড়াল থেকে সূর্যটা রাগ দেখাতে থাকে। দ্রুত গরম বাড়তে থাকে। এখন রাত তিনটায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর নেই। বেশ গরম অনুভূত হতে থাকে। তবে ঘামাচ্ছে না। তাপটা শরীরের চামড়ায় গিয়ে লাগছে মনে হয়।
সাগরের পানি স্বচ্ছ। কোনো ঢেউ নেই। সাগরপাড়ে পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে নিচে তাকালে টলটলে পানি। পাথরের ওপর কাঁকড়ার দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেন একটি আরেকটিকে তাড়া করে আবার পানিতে ফেলছে। সেদিকে তাকালে তাপ আারো বেশি লাগে।
এরই মধ্যে আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে দক্ষিণ পাড়ের টাওয়ারগুলো। আল কোর্নিশ ধরে এগোলেই পূর্ব পাড় ঘুরে দক্ষিণে ওই টাওয়ারগুলোর কাছে যাওয়া যায়। সূর্যরশ্মি ততক্ষণে আরব সাগরে লাল চিড় টেনে দিয়েছে।
সাগড়পাড়ে খেজুরগাছ রয়েছে অনেক। আর সবুজ ঘাসের পথ অনেকদূর অব্দি বিস্তৃত। সকালে মর্নিং ওয়াকে বের হয়ে গরমকে সহনীয় করে নিচ্ছে অনেকে। আল কোর্নিশে পথের ধারে অনেক গাড়ি থেমে আছে। এখানে সকালটা দেখতে আসেন অনেকে। আবার দু-একজনকে দেখা যায় লম্বা ছিপ নিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।
সাগরে ছিপ দিয়ে মাছ ধরা এখানে সম্ভব। কারণ দেশের পুকুরে ঢেউ এখানকার সাগরের ঢেউয়ের চেয়ে যেন একটু বেশি। সূর্যের আলোতে সাগরের পানি আরেকটু সবুজাভ হয়ে ওঠে; স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে হয়।
সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে আল কোর্নিশের ধার ধরে এগিয়ে যাই আমরা। শহরের চাকচিক্যময় টাওয়ারগুলোর ওপর সূর্যের আলো ঝলমল করে ওঠে। সাগর থেকে ওঠা সূর্য তখন বেশ তেতে উঠেছে। সকাল ৬টা বাজলেও সূর্যের আলো আর তাপ যেন বাংলাদেশের সময় ১০টার সময়ের উত্তাপের চেয়ে বেশি। সারা রাত ভ্রমণের পর এই সূর্যের তাপ আর বেশিক্ষণ সহ্য করা যায় না।
** বিশ্বকাপের পরে কাতার বাংলাদেশিদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে
** রিজেন্টে দোহায় প্রথম ফ্লাইটে উৎসবের আমেজ
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এমএন/জেএম