শৃঙ্খলা, সেবার দিক থেকে এটি দেশের মধ্যে অনন্য অবস্থানে পৌঁছে গেছে বললেও বেশি কিছু বলা হবে না। বোর্ডিং পাস থেকে শুরু করে টেক অফ পর্যন্ত ভ্রমণের সব পর্যায়েই রয়েছে ইউএস-বাংলার যত্ন আর আন্তরিকতা।
‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৭৬ আসনবিশিষ্ট দু’টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কাট, কাঠমুন্ডু ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ ও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।
২০১৮ সালের মধ্যে আরও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০, তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং দু’টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের প্রথম বিমানসংস্থা হিসেবে চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক গন্তব্য গুয়াংজুহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে সপ্তাহে প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে যাত্রা শুরুর পর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৩৫ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করছে যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে রেকর্ড।
শনিবার (১০ মার্চ) দ্বিতীয়বারের মতো কাস্টমার সাকসেস সামিটের আয়োজন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এ সম্মেলনে ইউএস-বাংলার দেশি-বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নেবেন। দেশি-বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে সেতুবন্ধন, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসাকে উৎসাহিত করাই এ সম্মেলনের লক্ষ্য।
সম্মেলনে দেশের বাইরে থেকে বিশেষ করে কাতার, ওমান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভারত থেকে ইউএস-বাংলার প্রায় দুই শতাধিক ট্রাভেল পার্টনার অংশ নেবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী থেকে প্রায় ছয় শতাধিক ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেবেন।
শনিবার কক্সবাজারের লংবিচ হোটেল বলরুমে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।
সম্মেলনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনিয়ট প্রিফনটেইন, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সামিটে উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে রয়েছে বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড, ট্রাভেল ও কর্পোরেট পার্টনারদের সঙ্গে ইউএস-বাংলার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ফানুস ফেস্টিভালসহ আরও অনেক ইভেন্ট। এছাড়া ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে যারা বেস্ট সেলার নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
ইইউডি/আরআর