বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন শিল্পের নানান দিক তুলে ধরতে বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে অংশ নিয়েছে উজবেকিস্তানের নিকা ট্রাভেল ট্যুরিজম কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই মেলা শনিবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
নিকা ট্রাভেলের স্টল সাজানো হয়েছে উজবেকিস্তানের অনন্য কারুকার্যময় ইসলামিক স্থাপনার ছবি দিয়ে। সেই স্থাপনাসমূহ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
ইতিহাসখ্যাত যোদ্ধা ও শাসক তৈমুর লং, হজরত ইমাম বুখারি, হজরত বাহাউদ্দিন নকশাবন্দিসহ সফল রাষ্ট্রনায়ক ও জ্ঞানীগুণী দার্শনিকদের মাজার রয়েছে উজবেকিস্তানে। এছাড়া রয়েছে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইচান কালা কমপ্লেক্স, বিখ্যাত বিবি খানম মসজিদ, কালটা মিনার, মহম্মদ আমিন খান মাদ্রাসা, জুমা মসজিদ, বোরগাজি খান মাদ্রাসা, ইসলাম খোজা মাদ্রাসা ও মিনার, তাসখাউনি, হারেম ও পাহাড়ের গায়ে অনেক প্রাচীন সমাধি।
মধ্য এশিয়ার দেশটিতে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট না থাকায় প্লেন টিকেটে খরচ একটু বেশি। বুখারা, সমরখন্দ, তাসখন্দ ও খিবা শহর ঘুরে দেখার প্যাকেজ নিয়ে এসেছে নিকা ট্রাভেল। নিকা ট্রাভেলের এ দেশীয় পার্টনার সেইফওয়ে হলিডেইজ।
উজবেকিস্তান ভ্রমণে ৫ রাত ৬ দিনের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৫৭৫ ডলার। তবে ভিসা ফি ও আন্তর্জাতিক রুটের এয়ার টিকিট অন্তর্ভুক্ত নয়। এই ফেয়ার শুধু মেলায় বুকিং দিলেই উপভোগ করতে পারবেন ভ্রমণ পিপাসুরা। মেলা উপলক্ষে ডিসকাউন্ট দিয়ে এ প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেইফওয়ে হলিডেইজের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আবু জাফর বলেন, উজবেকিস্তান ভ্রমণে আমরা সবধরনের সহায়তা দিচ্ছি। উজবেকিস্তান সকল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। মেলা উপলক্ষে ছাড় দিয়ে প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। তাই কোনো পর্যটক যেতে চাইলে বুকিং দিতে পারেন।
সেইফওয়ে লজিস্টিক ও হলিডেইজের ব্রান্ড ফটোগ্রাফার সানজির হোসেন বলেন, স্টলে যে ফটোগ্রাফি রয়েছে তা আমি নিজে উজবেকিস্তানে গিয়ে তুলেছি। আমার তোলা ছবি দিয়েই স্টল সাজানো হয়েছে। উজবেকিস্তানের পর্যটন অন্যরকম। মেলায় মানুষের ভালো সাড়া মিলছে।
নিকা ট্রাভেলের জেনারেল ডিরেক্টর আলিশার বৈশব বলেন, মেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো উজবেকিস্তানকে তুলে ধরা। সেখানে যে প্রচুর ইসলামি স্থাপনা রয়েছে, সেটা অনেকে জানে না। আশা করি, পর্যটকদের সাড়া পাবো।
মেলায় ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা, উজবেকিস্তানসহ দেশ-বিদেশের ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল অপারেটর, এয়ারলাইন্স, হোটেল ও রিসোর্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল রয়েছে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বিটিটিএফের ওয়েবসাইটে (www.bttf.toab.org) নিবন্ধন করে মেলায় আইডি কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ।
২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর পর্যটন মেলার আয়োজন করে আসছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
টিএম/এমজেএফ